চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আমাদের দেশে প্রায়ই বেশিরভাগ মানুষের সমস্যা গ্যাস্ট্রিকের। এই গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক মানুষ অজান্তেই পেটের অনেক সমস্যায় ভুগছেন। এই ব্যাথাটা আমাদের দেশে প্রায় সব মানুষেরই কমবেশি রয়েছে। এটা থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলাফেরা করতে হবে। তবে এ থেকে মুক্তির পথ পেতে পারি।


চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়- আসুন আমরা এই গ্যাস্ট্রিক থেকে কিভাবে বেঁচে থাকতে পারি। আমাদের সামনের জীবনকে আরো সুন্দর ও সুখময় ভাবে গড়ে তুলতে পারে। সেই দিকগুলো জেনে নেই। যদি আমরা আমাদের জীবনকে সুস্থ দেখতে চাই ভালো দেখতে চাই সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তবে আমরা গ্যাস্ট্রিক থেকে বেঁচে থাকতে পারবো।


সূচিপত্রঃ- চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলো কি কি

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

 কিরে তোরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হচ্ছে-আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ সমস্যার ভিতরে সব থেকে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এটা প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে। এর কোন প্রতিকার আমরা করতে পারছি না। এ থেকে কিভাবে বাঁচব এর কোন দিক আমরা ভেবে উঠতে পারছি না। তবে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন যদি মেনে চলা যায় তাহলে আশা করা যায় এই সমস্যা থেকে আমরা অনেকটা বেঁচে থাকতে পারবো।


আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। তাহলে এ ধরনের সমস্যা থাকে আমরা সমাধান পেতে পারি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায়ই বেশিরভাগ বিষয়গুলোতে ভুল করে থাকি। আর এই ভুলের কারণে আমাদেরকে অনেক ধরনের কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। আসুন আমাদের জীবনে যেন আর কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সেই দিকগুলো আমরা এই পোস্টে জানবো।

পেটের গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় গুলো কি কি

আমাদের পেটে গ্যাস্টিকের উৎপত্তিস্থল হল পাকস্থলী। এই পাকস্থলী থেকেই মূলত গ্যাস্টিকের ক্ষতি হয়ে থাকে। এ পেটের গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য আমরা কিছু ট্রিক যদি অবলম্বন করে থাকে থাকি থাকি তাহলে আশা করা যায় এই গ্যাস্ট্রিক থেকে বেঁচে থাকতে পারবো। সেগুলো হচ্ছেঃ লেবুর রস, নিম পাতার রস, চিরতার রস এগুলো খেলে আশা করা যায় অনেকটা গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।
  • লেবুর রসঃ লেবু একটি ভিটামিন সি জাতীয় ফল; এটি যদি আমরা খাবারের সাথে খায় তাহলে আমাদের পেটে অনেক সুন্দর হজমের কাজ করবে। এবং খাবারকে হজম করতে অনেকটা সাহায্য করবে হলে পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা হওয়া থেকে সাহায্য করবে তাহলে আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক থেকে সমস্যা হবে না।
  • নিমপাতা  রসঃ নিমপাতা একটি সুন্দর গ্যাস্ট্রিক জন্য কাজ করে থাকে। যদি আমরা সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতার রস খায় তাহলে আমাদের পেটের থেকে এসেছে তা অনেকটা কমে যাবে ফলে এভাবে আমরা গ্যাস্ট্রিক কমাতে পারি।
  • চিরতার রসঃ একইভাবে চিরতার রস যদি আমরা সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খায় তাহলে গ্যাস্টিকের সমস্যাটা অনেকটাই সেরে যাবে। এভাবে আমরা যদি প্রতিদিন একটানা ১৫ দিন খেতে পারি আশা করা যায় গ্যাস্ট্রিক কে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো।

গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সমূহ গুলো কি কি

পেটে গ্যাস্ট্রিক ঠিক হলে আমরা খুবই অস্বস্তিকর অনুভব করি খুবই অধৈর্য লাগে। এই গ্যাস্টিকের কারণে আমরা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় যেমনঃ পেট ফুলে যায়, পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়, শরীরের ভিতরে ভালো লাগেনা, শরীর অনেক দুর্বল করে, পেটের ভিতর জ্বালাপোড়া করে, মুখে টকটক লাগে আরো অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
  • পেট ফুলে যায়ঃ গ্যাস্ট্রিকের ফলে পেট ফুলে যায়। পেটের ভিতরে অনেক জ্বালাপোড়া করে। অস্বস্তিকর সমস্যার সৃষ্টি হয়। পেটের পাকস্থলীর ভেতরে বায়ু জমে খাবার হজম না হয়ে পেট ফুলে যায়।
  • শরীর অনেক দুর্বল করেঃ গ্যাস্ট্রিক হওয়ার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের ভেতর অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। শরীর অনেক ভারী হয়ে যায়। মাথা ঘুরায় ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।
  • পেটের ভিতর জ্বালাপোড়া করেঃ গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটের ভিতর সমস্যা করে। পেট মোচড়ায়। খাবার হজম হয় না। এর ফলে এটা জ্বালাপোড়া হয়।
  • মুখে টকটক লাগেঃ এ গ্যাস্টিকের কারণে পেটের ভিতরের বায়ু গুলো মুখ দিয়ে বের হয়। মুখে টক টক লাগে। মুখে কোন ধরনের শাক থাকে না। ফলে মুখে কোন ধরনের সাদ থাকে না। 

কোন ধরনের খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা কম

গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য বহু ধরনের খাবার রয়েছে। যেমন ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো গ্যাস্ট্রিকের ভালো কাজ করে। কোন কিছু খাবার আগে যদি পানি খাওয়া যায় তাহলে গ্যাসের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। কোন কিছু খাবার আগে পানি খেতে হবে এবং খাবার সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট পরে পানি খেতে হবে এভাবেও গ্যাস কমানো সম্ভব। প্রতিবেলায় খাবারের সাথে যদি আমরা লেবু খায় তাহলে খাবারের হজম শক্তি বেড়ে যাবে ফলে গেছে হওয়া সম্ভাবনা কমে যাবে।


গ্যাস্ট্রিক হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমরা খাবারের আগে পানি খাই না এবং খাবারের ভেতরে ঘন ঘন পানি খায় এ কারণে গ্যাস্টিকের সমস্যা গুলো বেশি হয়। আর আমাদের পেটে যত সমস্যা যত ধরনের অসুখ এগুলো প্রথমত শুরু হয়ে গ্যাস থেকেই। তাই আমাদেরকে রুটিন করে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। খাওয়া-দাওয়া কোন ধরনের প্রোটিনের বাইরে করা যাবে না।

পেটে  গ্যাস্ট্রিক হলে কোন ধরনের ওষুধ খেতে হবে

আমরা যে ধরনের খাবার খাই সে ধরনের খাবারগুলোতে প্রায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। এ ধরনের গ্যাস্ট্রিক জন্য আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করে থাকি। অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি তাও কোন ভালো ফলাফল পায় না। ফলে আমাদের আরো দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্যাস্টিকের জন্য স্থায়ী কোন চিকিৎসা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় না। তবে আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে খাই তাহলে আশা করা যায় এই গ্যাস্ট্রিক আর হবে না। ঘরোয়া চিকিৎসার ভেতরে গরম পানির সাথে যদি আদা মিশিয়ে সে পানি খাওয়া যায় তাহলে গ্যাস্ট্রিক অনেকটা কমে যায় এভাবে আমরাগ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথা হলে করণীয়

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হল- আমরা যখন বাসায় বা অনুষ্ঠানে যে চর্বিযুক্ত খাবারগুলো খেয়ে থাকি। সেটার ফলে আমাদের যে সমস্যাগুলো হয় সেটা হচ্ছে বুকে চাপ বা বুক ব্যথা। এটা কিভাবে হয়ে থাকে যখন আমরা চর্বিযুক্ত খাবারগুলো খাই তখন সে চর্বিগুলো রক্তনালি তে গিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে হলে রক্ত স্বাভাবিক মাত্রায় চলাচল করতে পারে না। রক্ত চলাচল করতে ব্যাঘাত ঘটে ফলে আমাদের হার্টে ব্যথার অনুভব সৃষ্টি হয় এখান থেকেই মূলত বুক ব্যাথা শুরু হয় আস্তে আস্তে আরো অন্যান্য সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয়। যদি আমরা চর্বিযুক্ত খাবার গুলো কম খায়। নিরামিষ খাবার গুলো যদি বেশি বেশি খায় হলে দেখা যাবে যে আমাদের যে বুকের ব্যথা সেটি অনেকাংশেই কমে যাবে। আমাদেরও আর অন্য কোন ধরনের সমস্যায় করতে হবে না।

গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথা হওয়ার মূল কারণ এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো আমিষ জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া। এর ফলে যত ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে প্রথমত বুক ব্যথা পরবর্তীতে সেটি থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করে আলসার এভাবে আমাদের শরীরে হাজার ধরনের অসুখের বাসা বাধা সৃষ্টি হয়।

সকালে কোন খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হবে না

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হচ্ছে আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কুলি না করে খালি পেটে বাঁশি পানি যদি খায়। তাহলে গ্যাস্ট্রিক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে পেটের ভেতরের যে জমে থাকা বায়ু বা একটা বাজে গন্ধ সেটিও আর থাকবে না এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। গ্যাস্ট্রিক ভাবটাও কমে যাবে। পানিটা আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা তা আজও বুঝতে পারি নাই। পানির অপর নাম জীবন এটা যেমন সত্য। ঠিক পানি যে কথাটা উপকারী আমাদের শরীরের জন্য এটাও ততটাই সত্য। 



তাই প্রতিটা খাবারের আগে আমাদেরকে পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে সে ক্ষেত্রে এটা হবে যে, পেটের যে ফাঁকা অংশগুলো আছে সেগুলো পানি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে পরবর্তীতে যে খাবারগুলো খাব সেগুলো আমাদের পেটের লাড়িতে ঠেকার সম্ভাবনা কম থাকবে হলে আর গ্যাস্ট্রিক সম্ভাবনা থাকবে না এভাবেই মূলত আমরা আমাদেরকে সুস্থ রাখতে পারি গ্যাস্টিক মুক্ত জীবন দিতে পারি।

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায় হল যদি গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার হয়ে যায় তাহলে সেটি ওষুধের মাধ্যমে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যদি ওষুধের সম্ভব না হয় তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে সেটা শেষ করা যায়। তবে গ্যাস্ট্রিক একটি মারাত্মক অসুখ এই গ্যাস্ট্রিক যাদের আছে তাদের অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো আপনারা ইতিমধ্যে ওপরের প্যারাতে পড়েছেন। আর সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এটা থেকে পেটের ভেতরে আলসারের জন্ম নেয়। পরবর্তীতে কোন খাবার খেতে গেলে আমাদের পেটে জ্বালাপোড়া হয় পেটজলে খাবারের কোন রুচি থাকে না আরো অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

এজন্য আমাদেরকে খাবারের সাথে মসলা কম দিয়ে খেতে হবে, ঝাল কমাতে হবে। বেশি বেশি নিরামিষ যুক্ত খাবার খাবেন। ফলমূল বেশি বেশি খাবেন টেনশন মুক্ত  থাকবেন।


গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম গুলো কি কি

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়- গ্যাস্ট্রিক দূর করার নির্দিষ্ট কোন ব্যায়াম নেই তবে এই জিনিসগুলা যদি আপনি একটু মেনে চলেন আশা করা যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনা কম সেগুলো হচ্ছে, আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাবেন যতটুকু সম্ভব। তারপর একটু জোরে হাটার প্র্যাকটিস করলেন বা হাটাহাটি করলেন। চেষ্টা করবেন সবসময় নিজেকে হালকা ভারী কাজে ব্যস্ত রাখা। সেটা ছোট হোক বা বড় কাজ মিডিয়ার সূত্রে জানা গেছে যারা কঠোর পরিশ্রম করে তাদের কখনো গ্যাসের সম্ভাবনা থাকে না।

লেখক এর মন্তব্য-

পরিশেষে আপনাদেরকে আমি পরামর্শ দিতে চাই সেটি হচ্ছে অপরের পোষ্ট করে আপনারা যা জেনেছেন সেগুলো যদি সঠিক নিয়মে মেনে চলতে পারেন। তাহলে আশা করি আপনারা গ্যাস্ট্রিক মুক্ত জীবন পাবেন ইনশাআল্লাহ। আসলে নিয়মের বাইরে কোন কিছুই নাই পৃথিবীর সব কিছুই নিয়মের ভেতরে সীমাবদ্ধ। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে সে একটু সমস্যায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তাই আসুন আমরা নিয়ম করে জীবনকে পরিচালনা করি জীবনকে চালায় তাহলে এ জীবন আমাদেরকে দিতে পারে একটি সুন্দর জীবন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url